তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ (১৯ জুন) রবিবার সকাল ৬টায় প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। সকাল ৯টায় পাঁচ সেন্টিমিটার কমে যায়। এর আগে শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রোববার তা বেড়ে সকাল ৬টায় ১২ সেন্টিমিটারে গিয়ে দাঁড়ায়।
ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ পাঠক ও পানি পরিমাপক মো. নুরুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, হঠাৎ আবারও পানি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। জানা গেছে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে।
এতে ডিমলা উপজেলার দশটি ইউনিয়নের প্রায় আট হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা প্রিন্স জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার) ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
বড় ধরনের কোথাও সমস্যা তৈরি হলে তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করা হবে। বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট (স্লুইসগেট) খুলে রাখা হয়েছে। পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সজাগ রয়েছেন। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন,
হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তাবেষ্টিত এলাকার প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ১৫০ পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে শুকনা খাবারসহ ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে আরও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার দেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।